স্যাক্‌সন জাতি ও অ্যাংলো স্যাক্‌সন সাহিত্য

গৃহে আর কাহারেও হল না ফিরিতে

যেথা যায় সেখানেই উন্মত্ত জলধি–

বিনষ্ট হইয়া গেল তাহাদের বল,

উঠিল ঝটিকা ঘোর আকাশ ব্যাপিয়া,

করিল সে শত্রুদল দারুণ চীৎকার!

মৃত্যুর নিদানে বায়ু হল ঘনীভূত!

পাঠকেরা যদি মিলটনের শয়তানের সহিত কিডমনের শয়তানের তুলনা করিয়া দেখেন তবে অনেক সাদৃশ্য পাইবেন।

কেন বা সেবিব তাঁরে প্রসাদের তরে?

কেন তাঁর কাছে হব দাসত্বে বিনত?

তাঁর মতো আমিও বিধাতা হতে পরি।

তবে শুন–শুন সবে বীর-সঙ্গীগণ

তোমরা সকলে মোর করো সহায়তা,

তা হলে এ যুদ্ধে মোরা লভিব বিজয়!

সুবিখ্যাত, সুদৃঢ়-প্রকৃতি বীরগণ

আমারেই রাজা বলে করেছে গ্রহণ।

সুযুক্তি দিবার যোগ্য ইহারাই সবে,

যুঝিব ঈশ্বর সাথে ইহাদের লয়ে!

                 ...

ইহাদেরি রাজা হয়ে শাসিব এ দেশ,

তবে কী কারণে হব তাঁহারি অধীন?

কখনো–কখনো তাঁর হইব না দাস।

আর-এক স্থলে-                           উচ্চ স্বর্গধামে মোরে করিলেন দান–

ঈশ্বর যে সুখ-ভূমি, সে স্থানের সাথে

এ সংকীর্ণ আবাসের কী ঘোর প্রভেদ।

যদি কিছুক্ষণ তরে পাই গো ক্ষমতা-

এক শীত ঋতু তরে হই মুক্ত যদি

তাহা হলে সঙ্গীগণ লয়ে–কিন্তু হায়-

চোরি দিকে রহিয়াছে লৌহের বাঁধন!

এই ঘোর নরকের দৃঢ়মুষ্টি মাঝে

কী দারুণরূপে আমি হয়েছি আবদ্ধ!

ঊর্ধ্বে, নিম্নে জ্বলিতেছে বিশাল অনল–

এমন জঘন্য দৃশ্য দেখি নি কখনো!