স্যাক্‌সন জাতি ও অ্যাংলো স্যাক্‌সন সাহিত্য
করিতেন। আমাদের দেশের কবিদের সহিত, কিডমনের স্বপ্ন-আদেশের বিষয় কেমন মিলিয়া গিয়াছে।

সৃষ্টির বিষয়ে কিডমন এইরূপ বর্ণনা করিয়াছেন-

গুহা-অন্ধকার ছাড়া ছিল না কিছুই!

এ মহা অতলস্পর্শ আঁধার গভীর–

আছিল দাঁড়ায়ে শুধু শূন্য নিষ্ফল।

উন্নত ঈশ্বর তবে দেখিলা চাহিয়া

এই নিরানন্দস্থান! দেখিলা হেথায়

অন্ধকার, বিষণ্ন ও শূন্য মেঘরাশি

রহিয়াছে চিরস্থির-নিশীথিনী ল’য়ে।

উত্থিল হইল সৃষ্টি ঈশ্বর-আজ্ঞায়।

মহান ক্ষমতাবলে অনন্ত ঈশ্বর

প্রথমে স্বর্গ ও পৃথ্বী করিলা সৃজন।

নির্মিলা আকাশ; আর এ বিস্তৃত ভূমি

সর্বশক্তিমান প্রভু করিলা স্থাপন।

পৃথিবী তরুণ তৃণে ছিল না হরিত,

সমুদ্র চিরান্ধকারে আছিল আবৃত,

পথ ছিল সুদূর-বিস্তৃত, অন্ধকার!

আদেশিলা মহাদেব জ্যোতিরে আসিতে

এ মহা আঁধার স্থানে। মুহূর্তে অমনি-

ইচ্ছা পূর্ণ হল তাঁর। পবিত্র আলোক

এই মরুময় স্থানে পাইল প্রকাশ।

কিডমন ইজিপ্টের ফ্যারাওর (pharaoh) যুদ্ধে মৃত্যুবর্ণনা করিতেছেন-

ভয়ে তাহাদের হৃদি হইল আকুল!

মৃত্যু হেরি সমুদ্র করিল আর্তনাদ,

পর্বত-শিখর রক্তে হইল রঞ্জিত,

সিন্ধু রক্তময় ফেন করিল উদ্‌গার,

উঠিল মৃত্যু-আঁধার, গর্জিল তরঙ্গ,

পলাল ইজিপ্টবাসী ভয়ে কম্পান্বিত!

                 ...

সমুদ্র তরঙ্গরাশি মেঘের মতন

ধাইয়া তাদের পানে, পড়িল ঝাঁপিয়া;