প্রকল্প সম্বন্ধেপ্রকল্প রূপায়ণেরবীন্দ্র-রচনাবলীজ্ঞাতব্য বিষয়পাঠকের চোখেআমাদের লিখুনডাউনলোডঅন্যান্য রচনা-সম্ভার |
কুসুমশয়ানে মিলিত নয়ানে
উলসিত অরবিন্দ,
শ্যামসোহাগিনী কোরে ঘুমায়লি
চাঁদের উপরে চন্দ।
কুঞ্জ কুসুমিত সুধাকরে রঞ্জিত
তাহে পিককুল গান –
মরমে মদনবাণ দুঁহে অগেয়ান,
কি বিধি কৈল নিরমাণ।
মন্দ মলয়জ পবন বহে মৃদু
ও সুখ কো করু অন্ত।
সরবস-ধন দোঁহার দুঁহু জন,
কহয়ে রায় বসন্ত।
বসন্তরায়ের কবিতায় আর একটি মোহমন্ত্র আছে, যাহা বিদ্যাপতির কবিতায় সচরাচর দেখা যায় না! বসন্তরায় প্রায় মাঝে মাঝে বস্তুগত বর্ণনা দূর করিয়া দিয়া এক কথায় এমন একটি ভাবের আকাশ খুলিয়া দেন, যে, আমাদের কল্পনা পাখা ছড়াইয়া উড়িয়া যায়, মেঘের মধ্যে হারাইয়া যায়! এক স্থলে আছে – “রায় বসন্ত কহে ও রূপ পিরীতিময়।” রূপকে পিরীতিময় বলিলে যাহা বলা হয়, আর কিছুতে তাহার অপেক্ষা অধিক বলা যায় না। যেখানে বসন্তরায় শ্যামের রূপকে বলিতেছেন –
কমনীয়া কিশোর কুসুম অতি সুকোমল
কেবল রস নিরমাণ
শ্রীকৃষ্ণ রাধাকে বলিতেছেন–
আলো ধনি, সুন্দরি, কি আর বলবি?
তোমা না দেখিয়া আমি কেমনে রহিব?
তোমার মিলন মোর পুণ্যপুঞ্জরাশি,
মরমে লাগিছে মধুর মৃদু হাসি!