আদর্শ প্রশ্ন

কৈকেয়ীর এক চেড়ী ছিল তার নাম মন্থরা, সে ভরতের ধাত্রীমাতা। সে ঈর্ষান্বিতা হয়ে কৈকেয়ীকে গিয়ে বললে, ভরতকে এড়িয়ে রামকে যদি রাজা করা যায় তা হলে অপমানে দুঃখের সাগরে ডুবে মরবি, এর প্রতিবিধান করতে হবে।

প্রথমে কৈকেয়ী এ কথায় কান দেন নি কিন্তু বারবার তাঁকে উত্তেজিত করাতে তাঁর মন বিগড়ে গেল, তিনি মন্থরাকে জিজ্ঞাসা করলেন কী উপায় করা যেতে পারে।

মন্থরা তাঁকে মনে করিয়ে দিলে, এক সময় তাঁর ব্রণক্ষতের শুশ্রূষায় সন্তুষ্ট হয়ে দশরথ কৈকেয়ীকে দুটি বর দিতে প্রতিশ্রুত হয়েছিলেন। আজ সেই প্রতিশ্রুতি পালন-উপলক্ষ্যে এক বরে রামের চোদ্দো বৎসর নির্বাসন, আর এক বরে ভরতকে রাজ্যদান প্রার্থনা করতে হবে।

বাকি অংশের সূচি—

কৈকেয়ী সম্ভাষণে কৈকেয়ীর ঘরে দশরথের গমন।

ভূতলশায়িনী কৈকেয়ীর ক্ষুব্ধ অবস্থায় দশরথ যখন তাঁকে সান্ত্বনা দেবার উপলক্ষ্যে তাঁর ক্ষোভের কারণ দূর করতে স্বীকৃত হলেন, তখন শুশ্রূষাকালীন পূর্ব প্রতিশ্রুতি স্মরণ করিয়ে কৈকেয়ীর দুই বর প্রার্থনা। শুনে রাজার দুঃখবিহ্বল অবস্থা।

এ দিকে অভিষেক সভার বিলম্ব দেখে অন্তঃপুরে এসে দশরথের কাছে সারথি সুমন্ত্রের কারণ জিজ্ঞাসা।

কৈকেয়ী-কর্তৃক সমস্ত ঘটনা বিবৃতি ও রাজার কাছ থেকে সত্যপালনের দাবি।

সুমন্ত্রের কাছ থেকে সমস্ত বিবরণ শুনে অন্তঃপুরে গিয়ে পিতার সত্যরক্ষার জন্য রামের কথা দেওয়া।

অন্যায় সত্য-লঙ্ঘনের জন্য ক্রুদ্ধ লক্ষণের অনুরোধ। পিতৃসত্য-রক্ষায় রামের দৃঢ় সংকল্প। রামের বনযাত্রায় সীতা ও লক্ষণের অনুগমন।

মহাভারত

মহাভারতে দ্যূতক্রীড়ার বিবরণ পূর্বোক্ত রীতিতে যথাসম্ভব সংক্ষেপে লেখো।

বারমাস্যা

বৎসরের ভিন্ন ভিন্ন মাসে সিংহল-রাজকন্যা ধনপতিকে কী উপায়ে ও উপকরণে খুশী করবার প্রস্তাব করছে আপন ভাষায় তার বর্ণনা করো। যেমন –

বৈশাখ মাসে যখন প্রচণ্ড সূর্যের তাপ অসহ্য হয় তখন তোমাকে চন্দন মাখিয়ে সুগন্ধ জল দিয়ে স্নান করাব, শ্যামলবর্ণ গামছা দিয়ে তোমার গা মুছিয়ে দেব। আর নববর্ষে দান দক্ষিণা দেব ব্রাহ্মণকে।

দারুণ জ্যৈষ্ঠ মাসে তোমাকে আমের রস খাওয়াব তার সঙ্গে নবাৎ মিশিয়ে।

আষাঢ় মাসে যখন মেঘ গর্জন করে, ময়ূর নাচে, নববর্ষাধারায় মত্ত হয়ে দাদুরী ডাকতে থাকে তখন নৌকায় চোড়ো না, থেকো আমার মন্দিরে, ক্ষীরখণ্ডের সঙ্গে তোমাকে শালিধানের ভাত খাওয়াব। আষাঢ় মাস সুখের মাস, এর মধ্যে গ্রীষ্ম বর্ষা শীত তিন ঋতু একসঙ্গে মিশেছে। ইত্যাদি।

গোষ্ঠযাত্রা

গদ্যে লেখো। নমুনা –

সাজো সাজো ব’লে সাড়া প’ড়ে গেল। বলরামের শিঙ্গা বাজতেই রাখালবেশে প্রস্তুত হোলো গোয়ালপাড়া। ইত্যাদি।

বঙ্গভাষা

মাইকেল মধুসূদন দত্ত ইংরেজি লাটিন গ্রীক ফরাসি প্রভৃতি ভাষায় পণ্ডিত ছিলেন। তাঁর সাহিত্যরচনার প্রথম সাধনা হয় ইংরেজি ভাষায়। এই চতুর্দশপদী বাংলা কবিতায় তাঁর বলবার বিষয়টা কী।