শ্যামলী

                 কোথাও একটু টেনে দিলে নীচের দিকে,

                   কবিরা যেমন ছন্দ বদল করে

                        একটু আধটু বাঁকিয়ে চুরিয়ে।

 

              আজ প্রথম আমার মনে হল

                   অল্প মজুরির দিন - চালানো

                         একটা মানুষের জন্যে

                   নিজেকে তো সাজিয়ে তুলছে

                        আমাদের ঘরের পুরোনো বউ

            দিনে দিনে নতুন - দাম দেওয়া রূপে।

             এ তো নয় আমার আটপহুরে চারু।

          ঠিক এমনি করেই দেখা দিত অন্যযুগের অবন্তিকা

               ভালোলাগার অপরূপবেশে

                   ভালোবাসার চকিত চোখে।

          অমরুশতকের চৌপদীতে

            — শিখরিণীতে হোক, স্রগ্ধরায় হোক—

                  ওকে তো ঠিক মানাতো।

              সাজের ঘর থেকে বসবার ঘরে

              ওই যে আসছে অভিসারিকা,

                ও যেন কাছের কালে আসছে

                   দূরের কালের বাণী।

 

                        বাগানে গেলেম নেমে।

               ঠিক করেছি আমিও আমার সোহাগকে দেব মর্যাদা

                       শিল্পে - সাজিয়ে - তোলা মানপত্রে।

                         যখন ডাকব তোমাকে ঘরে

                             সে হবে যেন আবাহনী।

                                   সামনেই লতা ভরেছে সাদা ফুলে—

                                   বিলিতি নাম, মনে থাকে না—

                                       নাম দিয়েছি তারাঝরা ;

                                      রাতের বেলায় গন্ধ তার

                                       ফুলবাগানের প্রলাপের মতো।