কবিতা

       চুপি চুপি আয় মা, মায়ের কাছে।

আমি তোরে নুকিয়ে রেখে দেব,

       রেখে দেব বুকের মধ্যে করে —

থাক্‌, মা, সে তার পাষাণ হৃদি নিয়ে

       অনাদর যে করেছে তোরে।

মলিন মুখে গেলি তাদের কাছে —

তবু তারা নিলে না মা কোলে?

বড়ো বড়ো আঁখি দুখানি

       রইলি তাদের মুখের পানে তুলে?

এ জগৎ কঠিন — কঠিন —

       কঠিন, শুধু মায়ের প্রাণ ছাড়া।

সেইখানে তুই আয় মা ফিরে আয় —

       এত ডাকি দিবি নে কি সাড়া?

 

হে ধরণী, জীবের জননী,

       শুনেছি যে মা তোমায় বলে।

তবে কেন তোর কোলে সবে

       কেঁদে আসে কেঁদে যায় চলে।

তবে কেন তোর কোলে এসে

       সন্তানের মেটে না পিপাসা।

কেন চায় — কেন কাঁদে সবে,

       কেন কেঁদে পায় না ভালোবাসা।

কেন হেথা পাষাণ পরান

       কেন সবে নীরস নিষ্ঠুর!

কেঁদে কেঁদে দুয়ারে যে আসে

       কেন তারে করে দেয় দূর!

কেঁদে যে-জন ফিরে চলে যায়,

       তার তরে কাঁদিস নে কেহ —

এই কি মা জননীর প্রাণ!

       এই কি মা জননীর স্নেহ!