আগমনী

সুধীরে নিশার আঁধার ভেদিয়া

       ফুটিল প্রভাততারা।

হেথা হোথা হতে পাখিরা গাহিল

       ঢালিয়া সুধার ধারা।

মৃদুল প্রভাতসমীর পরশে

কমল নয়ন খুলিল হরষে,

হিমালয় শিরে অমল আভায়

       শোভিল ধবল তুষারজটা।

খুলি গেল ধীরে পূরবদ্বার,

ঝরিল কনককিরণধার,

শিখরে শিখরে জ্বলিয়া উঠিল,

       রবির বিমল কিরণছটা।

গিরিগ্রাম আজি কিসের তরে,

উঠেছে নাচিয়া হরষভরে,

অচল গিরিও হয়েছে যেমন

       অধীর পাগল-পারা।

তটিনী চলেছে নাচিয়া ছুটিয়া,

কলরব উঠে আকাশে ফুটিয়া,

ঝর ঝর ঝর করিয়া ধ্বনি

       ঝরিছে নিঝরধারা।

তুলিয়া কুসুম গাঁথিয়া মালা,

চলিয়াছে গিরিবাসিনী বালা,

অধর ভরিয়া সুখের হাসিতে

       মাতিয়া সুখের গানে।

মুখে একটিও নাহিকো বাণী

শবদচকিতা মেনকারানী

তৃষিত নয়নে আকুল হৃদয়ে,

       চাহিয়া পথের পানে।

আজ মেনকার আদরিণী উমা

       আসিবে বরষ-পরে।