পুনশ্চ

               রাজকুলের বৃদ্ধ পুরোহিত

বললে, ‘ধিক্‌ মহারানী, ধিক্‌।

                   জাতিতে অন্ত্যজ রবিদাস,

               ফেরে পথে পথে, ঝাঁট দেয় ধুলো,

                    তাকে তুমি প্রণাম করলে গুরু ব'লে —

                       ব্রাহ্মণের হেঁট হল মাথা

                           এ রাজ্যে তোমার। '

 

 

রানী বললেন, ‘ঠাকুর, শোনো তবে,

        আচারের হাজার গ্রন্থি

    দিনরাত্রি বাঁধ কেবল শক্ত করে —

           প্রেমের সোনা কখন পড়ল খসে

               জানতে পার নি তা।

        আমার ধুলোমাখা গুরু

               ধুলোর থেকে কুড়িয়ে পেয়েছে।

    অর্থহারা বাঁধনগুলোর গর্বে, ঠাকুর,

               থাকো তুমি কঠিন হয়ে।

    আমি সোনার কাঙালিনী

               ধুলোর সে দান নিলেম মাথায় করে। '