উৎসর্গ

      সন্ধ্যানদীর নিঃশেষিত তান।

আঁচল তব উড়ে এসে

লাগে আমার বক্ষে কেশে,

      দেহ যেন মিলায় শূন্য ' পরি,

চক্ষু তব মৃত্যুসম

স্তব্ধ আছে মুখে মম

      কালো আলোয় সর্বহৃদয় ভরি।

 

যেমনি তব দখিন - পাণি

তুলে নিল প্রদীপখানি,

      রেখে দিল আমার গৃহকোণে,

গৃহ আমার এক নিমেষে

ব্যাপ্ত হল তারার দেশে

      তিমিরতটে আলোর উপবনে।

আজি আমার ঘরের পাশে

গগনপারের কারা আসে

       অঙ্গ তাদের নীলাম্বরে ঢাকি।

আজি আমার দ্বারের কাছে

অনাদি রাত স্তব্ধ আছে

      তোমার পানে মেলি তাহার আঁখি।

 

এই মুহূর্তে আধেক ধরা

লয়ে তাহার আঁধার - ভরা

      কত বিরাম, কত গভীর প্রীতি,

আমার বাতায়নে এসে

দাঁড়ালো আজ দিনের শেষে —

      শোনায় তোমায় গুঞ্জরিত গীতি।

চক্ষে তব পলক নাহি,

ধ্রুবতারার দিকে চাহি

      তাকিয়ে আছ নিরুদ্দেশের পানে।

নীরব দুটি চরণ ফেলে

আঁধার হতে কে গো এলে