প্রকল্প সম্বন্ধেপ্রকল্প রূপায়ণেরবীন্দ্র-রচনাবলীজ্ঞাতব্য বিষয়পাঠকের চোখেআমাদের লিখুনডাউনলোডঅন্যান্য রচনা-সম্ভার |
নাই তাহাতে হাট-বাজারের গদ্য কলরব।
হাঁ-য়ে না-য়ে যুগল নৃত্য কবির রঙ্গভূমে।
এতক্ষণ তো জাগায় ছিলুম এখন চলি ঘুমে।
লিখি কিছু সাধ্য কী!
যে দশা এ অভাগার লিখিতে সে বাধ্য কি।
মশা-বুড়ি মরেছিল চাপড়ের যুদ্ধে সে —
পরলোকগত তার আত্মার উদ্দেশে
আমারি লেখার ঘরে আজি তার শ্রাদ্ধ কি!
যেখানে যে কেহ ছিল আত্মীয় পরিজন
অভিজাতবংশীয় কেহ, কেহ হরিজন —
আমারি চরণজাত তাহাদের খাদ্য কি!
বাঁশি নেই, কাঁসি নেই, নাহি দেয় হাঁক সে,
পিঠেতে কাঁপাতে থাকে এক-জোড়া পাখ সে —
দেখিতে যেমনি হোক তুচ্ছ সে বাদ্য কি।
আশ্রয় নিতে চাই মেলে যদি shelter,
এক ফোঁটা বাকি নেই নেবুঘাস-তেলটার —
মশারি দিনের বেলা কভু আচ্ছাদ্য কি!
গাল তারে মিছে দিই অতি অশ্রাব্য,
হাতে পিঠ চাপড়াব সেটা যে অভাব্য —
এ কাজে লাগাব শেষে চটি-জোড়া পাদ্য কি।
পুজোর বাজারে আজি যদি লেখা না জোটাই,
দুটো লাইনেরো মতো কলমটা না ছোটাই —
সম্পাদকের সাথে রবে সৌহার্দ্য কি।
তৃণাদপি সুনীচেন তরোরিব সহিষ্ণুনা —
জানিতাম দীনতার এই শেষ দশা,