প্রকল্প সম্বন্ধেপ্রকল্প রূপায়ণেরবীন্দ্র-রচনাবলীজ্ঞাতব্য বিষয়পাঠকের চোখেআমাদের লিখুনডাউনলোডঅন্যান্য রচনা-সম্ভার |
ভাবলুম, মাহেন্দজারোতে
এইরকম চৈত্রশেষের অকেজো সকালে
কবি লিখেছিল কবিতা,
বিশ্বপ্রকৃতি তার কোনোই হিসাব রাখে নি।
কিন্তু, ময়ূর আজও আছে প্রাণের দেনাপাওনায়,
কাঁচা আম ঝুলে পড়েছে ডালে।
নীল আকাশ থেকে শুরু করে সবুজ পৃথিবী পর্যন্ত
কোথাও ওদের দাম যাবে না কমে।
আর, মাহেন্দজারোর কবিকে গ্রাহ্যই করলে না।
পথের ধারের তৃণ, আঁধার রাত্রের জোনাকি।
নিরবধি কাল আর বিপুলা পৃথিবীতে
মেলে দিলাম চেতনাকে,
টেনে নিলেম প্রকৃতির ধ্যান থেকে বৃহৎ বৈরাগ্য
আপন মনে ;
খাতার অক্ষরগুলোকে দেখলুম
মহাকালের দেয়ালিতে
পোকার ঝাঁকের মতো।
ভাবলুম, আজ যদি ছিঁড়ে ফেলি পাতাগুলো
তা হলে পর্শুদিনের অন্ত্যসৎকার এগিয়ে রাখব মাত্র।
এমন সময় আওয়াজ এল কানে,
“ দাদামশায়, কিছু লিখেছ না কি। '
ওই এসেছে — ময়ূর না,
ঘরে যার নাম সুনয়নী,
আমি যাকে ডাকি শুনায়নী ব ' লে।
ওকে আমার কবিতা শোনাবার দাবি সকলের আগে।
আমি বললেম, “ সুরসিকে, খুশি হবে না,
এ গদ্যকাব্য। ”
কপালে ভ্রূকুঞ্চনের ঢেউ খেলিয়ে
বললে, “ আচ্ছা, তাই সই। ”
সঙ্গে একটু স্তুতিবাক্য দিলে মিলিয়ে ;