বাল্মীকিপ্রতিভা
সকলে।
হাঃ হাঃ হাঃ!
[ সকলের প্রস্থান
দ্বিতীয় দৃশ্য
অরণ্যে কালীপ্রতিমা। বাল্মীকি স্তবে আসীন
কানাড়া
বাল্মীকি।
নিশুম্ভমর্দ্দিনী
অম্বে,
মহাসমরপ্রমত্ত
মাতঙ্গিনী,
কম্পে
রণাঙ্গন পদভারে একি!
থরহর
মহী সমুদ্র, পর্ব্বত ব্যোম,
সুরনর
শঙ্কাকুল– কে এ অঙ্গনা!
বালিকারে লইয়া দস্যুগণের প্রবেশ
কাফি
দদস্যুগণ।
দেখ, হো ঠাকুর, বলি এনেছি মোরা।
বড় সরেস, পেয়েছি বলি সরেস,
এমন সরেস মছ্লি রাজা জালে না পড়ে ধরা!
দেরি কেন ঠাকুর, সেরে ফেল’ ত্বরা!
কানাড়া
বাল্মীকি। নিয়ে আয়
কৃপাণ, হয়েছে তৃষিতা শ্যামা মা,
শোণিত পিয়াও, যা ত্বরায়!
লোল জিহ্বা লকলকে, তড়িত খেলে চোখে,
করিয়ে খণ্ড দিক্ দিগন্ত ঘোর দন্ত ভায়!
গারা ভৈরবী
বালিকা।
কি দশা হ’ল আমার, হায়!
কোথা গো মা
করুণাময়ী,
অরণ্যে প্রাণ যায় গো!
মুহূর্তের তরে, মা গো, দেখা দেও আমারে–
জনমের মত বিদায়!
সিন্ধু ভৈরবী
বাল্মীকি। এ কেমন হ’ল
মন আমার!
কি ভাব এ যে কিছুই বুঝিতে যে পারি নে!
পাষাণ হৃদয়ো গলিল কেন রে,