কথা

নব বরন ধরল বকুল ফুলে,

রক্তরেণু ঝরল তরুমূলে —

ভয়ে পাখি কূজন গেল ভুলে

       রাজপুতানীর উচ্চ উপহাসে।

কোথা হতে রাঙা কুজ্ঝটিকা

       লাগল যেন রাঙা সন্ধ্যাকাশে।

 

 

চোখে কেন লাগছে নাকো নেশা

       মনে মনে ভাবছে কেসর খাঁ।

বক্ষ কেন উঠছে নাকো দুলি,

নারীর পায়ে বাঁকা নূপুরগুলি

কেমন যেন বলছে বেসুর বুলি,

       তেমন ক’রে কাঁকন বাজছে না!

চোখে কেন লাগছে নাকো নেশা

       মনে মনে ভাগছে কেসর খাঁ।

 

 

পাঠান কহে, ‘ রাজপুতানীর দেহে

       কোথাও কিছু নাই কি কোমলতা!

বাহুযুগল নয় মৃণালের মতো,

কণ্ঠস্বরে বজ্র লজ্জাহত —

বড়ো কঠিন শুষ্ক স্বাধীন যত

       মঞ্জরীহীন মরুভূমির লতা।’

পাঠান ভাবে দেহে কিম্বা মনে

        রাজপুতানীর নাইকো কোমলতা।

 

 

তান ধরিয়া ইমন - ভূপালীতে

       বাঁশি বেজে উঠল দ্রুত তালে।

কুণ্ডলেতে দোলে মুক্তামালা,

কঠিন হাতে মোটা সোনার বালা,