প্রভাতসংগীত
পুরবের
শূন্যপটে
প্রভাতের স্মৃতিগুলি
এখনো দেখিতে যেন পায়,
তেমনি সে
ছায়াময়ী
কোথা যেন চেয়ে আছে
কোথা হতে আসিতেছে গান--
এলানো
কুন্তলজালে
সন্ধ্যার তারকাগুলি
গান শুনে মুদিছে নয়ান।
বিচিত্র সৌন্দর্য জগতের
হেথা আসি হইতেছে লয়।
সংগীত, সৌরভ, শোভা
জগতে যা-কিছু আছে
সবি হেথা প্রতিধ্বনিময়।
প্রতিধ্বনি, তব নিকেতন,
তোমার সে সৌন্দর্য অতুল,
প্রাণে জাগে ছায়ার মতন--
ভাষা হয় আকুল ব্যাকুল।
আমরণ চিরদিন কেবলি খুঁজিব তোরে
কখনো কি পাব না সন্ধান?
কেবলি কি রবি
দূরে,
অতি দূর হতে
শুনিব রে ওই আধো গান?
এই বিশ্বজগতের মাঝখানে দাঁড়াইয়া
বাজাইবি সৌন্দর্যের বাঁশি,
অনন্ত জীবনপথে খুঁজিয়া চলিব তোরে,
প্রাণমন হইবে উদাসী।
তপনেরে ঘিরি
ঘিরি
যেমন ঘুরিছে ধরা,
ঘুরিব কি তোর চারি দিকে?
অনন্ত প্রাণের
পথে
বরষিবি গীতধারা,
চেয়ে আমি রব অনিমিখে।
তোরি মোহময়
গান
শুনিতেছি অবিরত,
তোরি রূপ কল্পনায় লিখা--
করিস নে
প্রবঞ্চনা
সত্য করে বল্ দেখি
তুই তো নহিস মরীচিকা?
কত বার আর্ত
স্বরে
শুধায়েছি প্রাণপণে,