পুষ্পাঞ্জলি
কাছে লুকাইয়া রাখ-না কেন— ইহাকে আজিও সংসারের হাটের মধ্যে ফেলিয়া রাখিয়াছে কেন— তোমার স্বর্গলোকের সংগীতের জন্য ইহাকে ডাকিয়া লও— পাষণ্ড নরাধম পাষাণহৃদয় যে ইচ্ছা সেই ঝন্ঝন্ করিয়া চলিয়া যায়, অকাতরে তার ছিঁড়িয়া হাসিতে থাকে— খেলাচ্ছলে তাহার প্রাণে সংগীত শুনিয়া তার পরে যে যার ঘরে চলিয়া যায়, আর মনে রাখে না! এ বীণাটিকে তাহারা দেবতার অনুগ্রহ বলিয়া মনে করে না— তাহারা আপনাকেই প্রভু বলিয়া জানে— এইজন্য কখনো-বা উপহাস করিয়া কখনো-বা অনাবশক জ্ঞান করিয়া এই সুমধুর সুকোমল পবিত্রতার উপরে তাহাদের কঠিন চরণের আঘাত করে, সংগীত চিরকালের জন্য নীরব হইয়া যায়।