দ্বিতীয়া। বিভল আঁখি তুলে আঁখিপানে চায়,
যেন কোন্ পথ ভুলে এল কোথায় ওগো!
তৃতীয়া। যেন কোন্ গানের স্বরে শ্রবণ আছে ভরে,
যেন কোন্ চাঁদের আলোয় মগ্ন হয়েছে॥
স্বরলিপি
অমর। ওই মধুর মুখ জাগে মনে।
ভুলিব না এ জীবনে কী স্বপনে কী জাগরণে।
তুমি জান বা না জান,
মনে সদা যেন মধুর বাঁশরি বাজে
হৃদয়ে সদা আছ ব'লে।
আমি প্রকাশিতে পারি নে,
শুধু চাহি কাতর নয়নে॥
স্বরলিপি
সখীগণ। তারে কেমনে ধরিবে, সখী, যদি ধরা
দিলে।
প্রথমা। তারে কেমনে কাঁদাবে যদি আপনি
কাঁদিলে।
দ্বিতীয়া। যদি মন পেতে চাও মন রাখো গোপনে।
তৃতীয়া। কে তারে বাঁধিবে তুমি আপনায় বাঁধিলে।
সকলে। কাছে আসিলে তো কেহ কাছে
রহে না।
কথা কহিলে তো কেহ কথা কহে না।
প্রথমা। হাতে পেলে ভূমিতলে ফেলে চলে যায়।
দ্বিতীয়া। হাসিয়ে ফিরায় মুখ কাঁদিয়ে সাধিলে।
স্বরলিপি
নিকটে আসিয়া প্রমদার প্রতি
অমর। সকল হৃদয় দিয়ে ভালোবেসেছি যারে
সে কি ফিরাতে পারে সখী!
সংসারবাহিরে থাকি জানি নে কী ঘটে সংসারে।
কে জানে হেথায় প্রাণপণে প্রাণ যারে চায়
তারে পায় কি না পায়, জানি নে–
ভয়ে ভয়ে তাই এসেছি গো অজানা - হৃদয় - দ্বারে।
তোমার সকলি ভালোবাসি– ওই রূপরাশি,
ওই খেলা, ওই গান, ওই মধুহাসি।
ওই দিয়ে আছ ছেয়ে জীবন আমারি–
কোথায় তোমার সীমা ভুবনমাঝারে॥
স্বরলিপি