মরমের কথা হল না।
জনমের তরে তাহারি লাগিয়ে
রহিল মরমবেদনা।
স্বরলিপি
প্রমদার প্রতি
অশোক। ওগো সখী, দেখি দেখি মন কোথা আছে।
সখীগণ। কত কাতর হৃদয় ঘুরে ঘুরে হেরো কারে যাচে।
অশোক। কী মধু, কী সুধা, কী সৌরভ,
কী রূপ রেখেছ লুকায়ে!
সখীগণ। কোন্ প্রভাতে কোন্ রবির আলোকে
দিবে খুলিয়ে কাহার কাছে!
অশোক। সে যদি না আসে এ জীবনে, এ কাননে পথ না পায়।
সখীগণ। যারা এসেছে তারা বসন্ত ফুরালে
নিরাশ প্রাণে ফেরে পাছে॥
স্বরলিপি
প্রমদা। এ তো খেলা নয়, খেলা নয়।
এ যে হৃদয়দহনজ্বালা সখী।
এ যে প্রাণভরা ব্যাকুলতা, গোপন মর্মের ব্যথা,
এ যে কাহার চরণোদ্দেশে জীবন মরণ ঢালা।
কে যেন সতত মোরে ডাকিয়ে আকুল করে,
যাই - যাই করে প্রাণ– যেতে পারি নে।
যে কথা বলিতে চাহি তা বুঝি বলিতে নাহি–
কোথা যে নামায়ে রাখি, সখী, এ প্রেমের ডালা।
যতনে গাঁথিয়ে শেষে পরাতে পারি নে মালা॥
স্বরলিপি
প্রথমা সখী। সে জন কে
, সখী, বোঝা গেছে
আমাদের সখী যারে মনপ্রাণ সঁপেছে।
দ্বিতীয়া ও তৃতীয়া। ও সে কে, কে, কে!
প্রথমা। ওই - যে তরুতলে বিনোদমালা গলে
না জানি কোন্ ছলে বসে রয়েছে।
দ্বিতীয়া। সখী, কী হবে–
ও কি কাছে আসিবে কভু! কথা কবে!
তৃতীয়া। ও কি প্রেম জানে! ও কি বাঁধন মানে!
ও কী মায়াগুণে মন লয়েছে।