বাংলা ব্যাকরণের তির্যকরূপ
শুনিবার অপেক্ষা থাকে। কিন্তু যদি বলা যায় ‘একজন বললে, হাঁ’ তবে সেই সংবাদই পর্যাপ্ত।

তির্যক্‌রূপে হলন্ত শব্দে একার যোজনা সহজ, যেমন বানর বানরে। (বাংলায় বানর শব্দ হলন্ত)। অকারান্ত, আকারান্ত এবং ওকারান্ত শব্দের সঙ্গেও ‘এ’ যোজনায় বাধা নাই—‘ঘোড়াএ’ (ঘোড়ায়) ‘পেঁচোএ’ (পেঁচোয়) ইত্যাদি। এতদ্‌ব্যতীত অন্য স্বরান্ত শব্দে ‘এ’ যোগ করিতে হইলে ‘ত’ ব্যঞ্জনবর্ণকে মধ্যস্থ করিতে হয়। যেমন ‘গোরুতে’, ইত্যাদি। কিন্তু শব্দের শেষে যখন ব্যঞ্জনকে আশ্রয় না করিয়া শুদ্ধ স্বর থাকে তখন ‘ত’কে মধ্যস্থরূপে প্রয়োজন হয় না। যেমন উই, উইএ (উইয়ে), বউ, বউএ (বউয়ে) ইত্যাদি। এ কথা মনে রাখা আবশ্যক বাংলায় বিভক্তিরূপে যেখানে একার প্রয়োগ হয় সেখানে প্রায় সর্বত্রই বিকল্পে ‘তে’ প্রয়োগ হইতে পারে। এইজন্য ‘ঘোড়ায় লাথি মেরেছে’, এবং ‘ঘোড়াতে লাথি মেরেছে’ দুইই হয়। ‘উইয়ে নষ্ট করেছে’, এবং ‘উইতে’ বা ‘উইয়েতে’ নষ্ট করেছে।’ হলন্ত শব্দে এই ‘তে’ বিভক্তি গ্রহণকালে তৎপূর্ববর্তী ব্যঞ্জনে পুনশ্চ একার যোগ করিতে হয়। যেমন ‘বানরেতে’, ‘ছাগলেতে’।