স্বর্গীয় প্রহসন

ইন্দ্র। দেব ঘেঁটো, কিঞ্চিৎ অবসর দিতে অনুমতি হউক। দেবীর নিকট কিছু নিবেদন আছে।

ঘেঁটু। ইস্‌! দেখো! দেখো! একটু কাছে এসে বসেছি, তোমার যে আর গায়ে সইল না! এতটা বাড়াবাড়ি কিছু নয়! কথায় বলে অতিভক্তি চোরের লক্ষণ।— কাজ নেই ভাই, আবার শাপ দেবে! তোমরা দুজনে বোসো, আমি যাই।

বলপূর্বক ইন্দ্রকে শচীর আসনে বসাইবার চেষ্টা

ইন্দ্র। ( ঘেঁটুকে দূরে অপসারণ করিয়া) দেব, তুমি আত্মবিস্মৃত হইতেছ।

ওলাবিবির প্রবেশ

ওলাবিবি। ( শচীর প্রতি) তাই বলি যায় কোথায়! অমনি বুঝি সোয়ামির কাছে নাগাতে এসেছ? তা, নাগাও-না। তোমার সোয়ামিকে আমি ডরাই নে।

শচী। ( আসন হইতে উঠিয়া ইন্দ্রের প্রতি) দেবরাজ, আমি জয়ন্তকে সঙ্গে লইয়া বিষ্ণুলোকে কিছু কাল লক্ষ্মীদেবীর আলয়ে বাস করিবার সংকল্প করিয়াছি। বহুকাল দেবীদর্শন ঘটে নাই।

ইন্দ্র। আর্যে, আমিও দেবীর অনুসরণ করিতেছি। বহুকাল পূজার অনবসরক্রমে চক্রপাণির নিকটে অপরাধী হইয়া আছি।

[ উভয়ের প্রস্থান

চন্দ্র। দেব সহস্রলোচন, বিষ্ণুলোকে আমারও বিশেষ আবশ্যক আছে— লক্ষ্মীদেবী— হায়, বিপৎকালে বান্ধবেরাও ত্যাগ করিয়া যায়।

শীতলা। অমন হাঁড়িপানা মুখ করে আছ কেন? অমন করে থাক তো ফের কানমলা খাবে।

চন্দ্র। স্ফুরৎকনকপ্রভে, বিষ্ণুলোকে আমার বিস্তর বিলম্ব হইবে না, যদি অনুমতি কর তো দাস—

শীতলা। ফের কানমলা খাবে।

কান মলিতে উদ্যত

মনসার পুনঃপ্রবেশ

শীতলার সহিত পুনরায় কলহারম্ভ। ঘেঁটু ওলা মঙ্গলচণ্ডী প্রভৃতি

সকলের তাহাতে যোগদান

চন্দ্র। আপনারা তবে ততক্ষণ মিষ্টালাপ করুন, দাস বিষ্ণুলোক-অভিমুখে প্রয়াণ করিতে ইচ্ছা করে।

[ দ্রুতপদে, প্রস্থান