শ্যামা

 নেপথ্যে।       হায় এ কী সমাপন!

অমৃতপাত্র ভাঙিলি,

করিলি মৃত্যুরে সমর্পণ ;

এ দুর্লভ প্রেম মূল্য হারালো

কলঙ্কে, অসম্মানে॥

বজ্রসেনের প্রবেশ

পল্লীরমণীরা। তোমায় দেখে মনে লাগে ব্যথা,

হায় বিদেশী পান্থ।

এই দারুণ রৌদ্রে, এই তপ্ত বালুকায়

তুমি কি পথভ্রান্ত।

দুই চক্ষুতে এ কী দাহ

জানি নে, জানি নে, জানি নে, কী যে চাহ।

চলো চলো আমাদের ঘরে,

চলো চলো ক্ষণেকের তরে,

পাবে ছায়া, পাবে জল।

সব তাপ হবে তব শান্ত।

কথা কেন নেয় না কানে,

কোথা চ'লে যায় কে জানে।

মরণের কোন্‌ দূত ওরে

করে দিল বুঝি উদ্‌ভ্রান্ত।

[সকলের প্রস্থান
বজ্রসেনের প্রবেশ

বজ্রসেন।        এসো এসো এসো প্রিয়ে,

মরণলোক হতে নূতন প্রাণ নিয়ে।

নিষ্ফল মম জীবন,

নীরস মম ভুবন,

শূন্য হৃদয় পূরণ করো

মাধুরীসুধা দিয়ে।

সহসা নূপুর দেখিয়া কুড়াইয়া লইল

হায় রে, হায় রে, নূপুর