বিসর্জন

ধরে সে সহস্র মূর্তি পলকে পলকে

বাষ্পের মতন ; চারি দিকে যতই সে

পথ খুঁজে মরে, পথ তত লুপ্ত হয়ে

যায়। এক ভালো অনেকের চেয়ে। তুমি

সত্য, গুরুদেব, তোমারি আদেশ সত্য —

সত্যপথ তোমারি ইঙ্গিতমুখে। হত্যা

পাপ নহে, ভ্রাতৃহত্যা পাপ নহে, নহে

পাপ রাজহত্যা! — সেই সত্য, সেই সত্য!

পাপপুণ্য নাই, সেই সত্য! থাক্‌ চিন্তা,

থাক্‌ আত্মদাহ, থাক্‌ বিচার বিবেক! —

কোথা যাও ভাই-সব, মেলা আছে বুঝি

নিশিপুরে? কুকী রমণীর নৃত্য হবে?

আমিও যেতেছি।– এ ধরায় কত সুখ

আছে — নিশ্চিন্ত আনন্দসুখে নৃত্য করে

নারীদল, মধুর অঙ্গের রঙ্গভঙ্গ

উচ্ছ্বসিয়া উঠে চারি দিকে, তটপ্লাবী

তরঙ্গিণী-সম। নিশ্চিন্ত আনন্দে সবে

ধায় চারি দিক হতে — উঠে গীতগান,

বহে হাস্যপরিহাস, ধরণীর শোভা

উজ্জ্বল মূরতি ধরে। আমিও চলিনু।


গান

আমারে     কে নিবি ভাই, সঁপিতে চাই আপনারে।

আমার এই     মন গলিয়ে   কাজ ভুলিয়ে   সঙ্গে তোদের নিয়ে যা রে।

তোরা কোন্‌   রূপের হাটে,   চলেছিস   ভবের বাটে

পিছিয়ে   আছি আমি আপন ভারে।

তোদের ওই   হাসিখুশি   দিবানিশি   দেখে মন   কেমন করে।

আমার এই   বাধা টুটে   নিয়েযা   লুটেপুটে,

পড়ে থাক্‌   মনের বোঝা ঘরের দ্বারে।

যেমন ওই   এক নিমেষে   বন্যা এসে

ভাসিয়ে নে যায় পারাবারে।

এত যে   আনাগোনা,   কে আছে   জানাশোনা —