ফাল্গুনী

চন্দ্রহাস। সে তো আমি বলতে পারব না।

কেন।

চন্দ্রহাস। সে তো আমি চোখ দিয়ে দেখি নি।

তবে?

চন্দ্রহাস। আমার সব দিয়ে দেখেছিলুম।

তা হোক-না, বলো-না ভাই।

চন্দ্রহাস। আমার সমস্ত দেহ মন যদি কণ্ঠ হত বলতে পারত।

কাকে তুমি ধরেছ তাও কি বুঝতে পারলে না।

জগতের সেই বিরাট বুড়োটাকে?

যে-বুড়োটা অগস্ত্যের মতো পৃথিবীর যৌবনসমুদ্র শুষে খেতে চায়?

সেই যে ভয়ংকর? যে অন্ধকারের মতো? যার বুকে চোখ?

যার পা উলটো দিকে? যে পিছনে হেঁটে চলে?

নরমুণ্ড যার গলায়? শ্মশানে যার বাস?

চন্দ্রহাস। আমি তো বলতে পারি নে। সে আসছে, এখনি তাকে দেখতে পাব।

ভাই বাউল, তুমি দেখেছ তাকে?

বাউল। হাঁ, এই তো দেখছি।

কই।

বাউল। এই-যে।

ঐ-যে বেরিয়ে এল, বেরিয়ে এল।

ঐ-যে কে গুহা থেকে বেরিয়ে এল।

আশ্চর্য! আশ্চর্য!

চন্দ্রহাস। এ কী, এ যে তুমি!

তুমি! সেই আমাদের সর্দার!

আমাদের সর্দার রে!

বুড়ো কোথায়।

সর্দার। কোথাও তো নেই।

কোথাও না?

সর্দার। না।

তবে সে কী।

সর্দার। সে স্বপ্ন।

চন্দ্রহাস। তবে তুমিই চিরকালের?

সর্দার। হাঁ।