ফাল্গুনী
আসন্ন মিলনের গান

আর    নাই যে দেরি, নাই যে দেরি।

সামনে সবার পড়ল ধরা

তুমি যে ভাই আমাদেরি।

হিমের বাহু-বাঁধন টুটি

পাগলা ঝোরা পাবে ছুটি,

উত্তরে এই হাওয়া তোমার

বইবে উজান কুঞ্জ ঘেরি।


আর    নাই যে দেরি, নাই যে দেরি।

শুনছ না কি জলে স্থলে

জাদুকরের বাজল ভেরি।

দেখছ না কি এই আলোকে

খেলছে হাসি রবির চোখে,

সাদা তোমার শ্যামল হবে

ফিরব মোরা তাই যে হেরি॥


তৃতীয় দৃশ্য
সন্দেহ
মাঠ

সবাই বলে ঐ, ঐ, ঐ — তার পরে চেয়ে দেখলেই দেখা যায় শুধু ধুলো আর শুকনো পাতা।

তার রথের ধ্বজাটা মেঘের মধ্যে যেন একবার দেখা দিয়েছিল।

কিন্তু দিক ভুল হয়ে যায়। এই ভাবি পুবে, এই ভাবি পশ্চিমে।

এমনি করে সমস্ত দিন ধুলো আর ছায়ার পিছনে ঘুরে ঘুরেই হয়রান হয়ে গেলুম। বেলা যে গেল রে ভাই, বেলা যে গেল!

সত্যি কথা বলি, যতই বেলা যাচ্ছে ততই মনে ভয় ঢুকছে।

মনে হচ্ছে, ভুল করেছি।

সকালবেলাকার আলো কানে কানে বললে, শাবাশ, এগিয়ে চলো — বিকেলবেলাকার আলো তাই নিয়ে ভারি ঠাট্টা করছে।

ঠকলুম বুঝি রে!

দাদার চৌপদীগুলোর উপরে ক্রমে শ্রদ্ধা বাড়ছে।