ফাল্গুনী

সর্দার। বেরিয়ে আসতে হল।

ঐ জন্যেই গোল করি।

সর্দার। ঘরে বুঝি টিকতে দিবি নে?

তুমি ঘরে টিকলে আমরা বাইরে টিকি কী করে।

চন্দ্রহাস। এতবড়ো বাইরেটা পত্তন করতে তো চন্দ্র সূর্য তারা কম খরচ হয় নি, এটাকে আমরা যদি কাজে লাগাই তবে বিধাতার মুখরক্ষা হবে।

সর্দার। তোদের কথাটা কী হচ্ছে বল্‌ তো।

কথাটা হচ্ছে এই —

মোদের    যেমন খেলা তেমনি যে কাজ

জানিস নে কি ভাই।

 

সর্দার।                          খেলতে খেলতে ফুটেছে ফুল,

খেলতে খেলতে ফল যে ফলে,

খেলারই ঢেউ জলে স্থলে।

ভয়ের ভীষণ রক্তরাগে।

খেলার আগুন যখন লাগে

ভাঙাচোরা জ্বলে যে হয় ছাই।


সকলে।                  মোদের    যেমন খেলা তেমনি যে কাজ

জানিস নে কি ভাই॥

আমাদের এই খেলাটাতে দাদার আপত্তি।

দাদা। কেন আপত্তি করি বলব? শুনবি?

বলতে পারো দাদা, কিন্তু শুনব কি না তা বলতে পারি নে।

দাদা।                     সময় কাজেরই বিত্ত, খেলা তাহে চুরি।

সিঁধ কেটে দণ্ডপল লহ ভুরি ভুরি

কিন্তু চোরাধন নিয়ে নাহি হয় কাজ।

তাই তো খেলারে বিজ্ঞ দেয় এত লাজ।

চন্দ্রহাস। বল কী তুমি দাদা। সময় জিনিসটাই যে খেলা, কেবল চলে যাওয়াই তার লক্ষ্য।

দাদা। তা হলে কাজটা?

চন্দ্রহাস। চলার বেগে যে ধুলো ওড়ে কাজটা তাই, ওটা উপলক্ষ।

দাদা। আচ্ছা সর্দার, তুমি এর নিষ্পত্তি করে দাও।

সর্দার। আমি কিছুরই নিষ্পত্তি করি নে। সংকট থেকে সংকটে নিয়ে চলি — ঐ আমার সর্দারি।

দাদা। সব জিনিসের সীমা আছে কিন্তু তোদের যে কেবলই ছেলেমান্‌‍ষি!