কাহিনী

দু-দশটা যাহা পেরেছ সরাতে

মোর কাছে দিলে রবে যতনেই।

কল্যাণী।     কিছুই আনি নি, শুধু হেরো এই

হাতে দুটি চুড়ি, পায়েতে নূপুর।

ক্ষীরো।      আজ এস তবে, বেজেছে দুপুর —

শরীর ভালো না, তাইতে সকালে

মাথা ধরে যায় অধিক বকালে।

মালতী!

মালতী।          আজ্ঞে।

ক্ষীরো।                     জানে না কানাই

স্নানের সময় বাজবে সানাই?

মালতী।     বেটারে উচিত করব শাসন।

[কল্যাণীর প্রস্থান

ক্ষীরো।      তুলে রাখো মোর রত্ন-আসন —

আজকের মতো হল দরবার।

মালতী!

মালতী।          আজ্ঞে।

ক্ষীরো।                     নাম করবার

সুখ তো দেখলি?

মালতী।                     হেসে নাহি বাঁচি —

ব্যাঙ থেকে কেঁচে হলেন ব্যাঙাচি।

ক্ষীরো।      আমি দেখো বাছা, নাম-করাকরি,

যেখানে সেখানে টাকা-ছড়াছড়ি

জড়ো করে দল ইতর লোকের

জাঁক-জমকের লোক-চমকের

যত রকমের ভণ্ডামি আছে

ঘেঁষি নে কখনো ভুলে তার কাছে।

প্রথমা।     রানীর বুদ্ধি যেমন সারালো,

তেমনি ক্ষুরের মতন ধারালো।

দ্বিতীয়া।     অনেক মূর্খে করে দান ধ্যান,

কার আছে হেন কাণ্ডজ্ঞান।

তৃতীয়া।     রানীর চক্ষে ধুলো দিয়ে যাবে