প্রকল্প সম্বন্ধেপ্রকল্প রূপায়ণেরবীন্দ্র-রচনাবলীজ্ঞাতব্য বিষয়পাঠকের চোখেআমাদের লিখুনডাউনলোডঅন্যান্য রচনা-সম্ভার |
গয়না যা ছিল হীরে মুক্তোর,
সেই বড়ো বড়ো নীলার কণ্ঠি,
কানবালা-জোড়া বেড়ে গড়নটি,
সেই-যে চুনীর পাঁচনলি হার,
হীরে-দেওয়া সিঁথি লক্ষ টাকার —
সেগুলো নিয়েছে বুঝি লুটেপুটে?
কল্যাণী। সব নিয়ে গেছে সৈন্যেরা জুটে।
ক্ষীরো। আহা, তাই বলে, ধনজনমান
পদ্মপত্রে জলের সমান।
দামি তৈজস ছিল যা পুরোনো
চিহ্নও তার নেই বুঝি কোনো?
সেকালের সব জিনিসপত্র
আসাসোটাগুলো চামরছত্র
চাঁদোয়া কানাত গেছে বুঝি সব?
শাস্ত্রে যে বলে ধনবৈভব
তড়িৎ-সমান, মিথ্যে সে নয়।
এখন তা হলে কোথা থাকা হয়।
বাড়িটা তো আছে?
কল্যাণী। ফৌজের দল
প্রাসাদ আমার করেছে দখল।
ক্ষীরো। ওমা, ঠিক এ যে শোনায় কাহিনী —
কাল ছিল রানী, আজ ভিখারিনি।
শাস্ত্রে তাই তো বলে সব মায়া,
ধনজন তালবৃক্ষের ছায়া।
কী বল মালতী!
মালতী। তাই তো বটেই,
বেশি বাড় হলে পতন ঘটেই।
কল্যাণী। কিছু দিন যদি হেথায় তোমার
আশ্রয় পাই, করি উদ্ধার
আবার আমার রাজ্যখানি _
অন্য উপায় নাহিকো জানি।
ক্ষীরো। আহা, তুমি রবে আমার হেথায়