শেষরক্ষা
পছন্দটা হল পলিথিইজ্‌ম। দুটোর থিওলজি একেবারে উলটো। বিয়ের ডেফিনিশন্‌ই হচ্ছে জন্মের মতো পছন্দ-বায়ুটাকে খতম করে দেওয়া। তেত্রিশ কোটিকে একের মধ্যে নিঃশেষে বিসর্জন করা।

পাশের বাড়ি হইতে গানের শব্দ

বিনোদ। ঐ শোনো, গান।

গদাই। কার গান হে?

চন্দ্রকান্ত। চুপ করে খানিকটা শোনোই-না। পরে পরিচয় দেব।

নেপথ্যে গান

কাছে যবে ছিল, পাশে

হল না যাওয়া।

চলে যবে গেল, তারি

লাগিল হাওয়া।

যবে ঘাটে ছিল নেয়ে

তারে দেখি নাই চেয়ে,

দূর হতে শুনি স্রোতে

তরণী বাওয়া।


যেখানে হল না খেলা

সে খেলাঘরে

আজি নিশিদিন মন

কেমন করে।

হারানো দিনের ভাষা

স্বপ্নে আজি বাঁধে বাসা,

আজ শুধু আঁখিজলে

পিছনে চাওয়া।

চন্দ্রকান্ত। বিন্‌দা, আজকাল রাধিকার দলই বাঁশি বাজাতে শিখেছে, কলির কৃষ্ণগুলোকে বাসা থেকে পথে বের করবে। দেখো-না নাড়ীটা বেশ একটু দ্রুত চলছে।

বিনোদ। চন্দ্র, আজ কী করব ভাবছিলুম, একটা মতলব মাথায় এসেছে।

চন্দ্রকান্ত। কী বলো দেখি।

বিনোদ। চলো, যে মেয়েটি গান গায় ওর সঙ্গে আজই আমার বিয়ের সম্বন্ধ করে আসি গে।

চন্দ্রকান্ত। বলো কী!

বিনোদ। আর তো বসে বসে ভালো লাগছে না।

চন্দ্রকান্ত। কিন্তু দেখাশুনা তো করবে, আলাপ-পরিচয় তো করতে হবে? আমরা বিয়ে করেছিলুম চোখ বুজে বড়ি গেলার