কাহিনী
লক্ষ্মীর পরীক্ষা
প্রথম দৃশ্য

ক্ষীরো।      ধনী সুখে করে ধর্মকর্ম

গরিবের পড়ে মাথার ঘর্ম।

তুমি রানী, আছে টাকা শত শত,

খেলাছলে কর দান ধ্যান ব্রত —

তোমার তো শুধু হুকুম মাত্র,

খাটুনি আমারি দিবসরাত্র।

তবুও তোমারি সুযশ, পুণ্য —

আমার কপালে সকলি শূন্য।

নেপথ্য।     ক্ষীরি, ক্ষীরি, ক্ষীরো!

ক্ষীরো।      কেন ডাকাডাকি —

নাওয়া-খাওয়া সব ছেড়ে দেব না কি?


রানী কল্যাণীর প্রবেশ


কল্যাণী।     হল কী! তুই যে আছিস রেগেই।

ক্ষীরো।      কাজ যে পিছনে রয়েছে লেগেই।

কতই বা সয় রক্তমাংসে

কত কাজ করে একটা মান্‌ষে!

দিনে দিনে হল শরীর নষ্ট।

কল্যাণী।     কেন, এত তোর কিসের কষ্ট?

ক্ষীরো।      যেথা যত আছে রামী ও বামী

সকলেরি যেন গোলাম আমি।

হোক ব্রাহ্মণ, হোক শুদ্দুর,

সেবা করে মরি পাড়াশুদ্ধুর।

ঘরেতে কারো তো চড়ে না অন্ন,

তোমারি ভাঁড়ারে নিমন্তন্ন,

হাড় বের হল বাসন মেজে,

সৃষ্টির পান-তামাক সেজে।