কাহিনী

কুরুবংশরাজলক্ষ্মী নাহি রবে আর —

শুধু রবে অন্ধ পিতা, অন্ধ পুত্র তার,

আর কালান্তক যম — শুধু পিতৃস্নেহ

আর বিধাতার শাপ, আর নহে কেহ।

 

চরের প্রবেশ

 

চর।      মহারাজ, অগ্নিহোত্র দেব-উপাসনা

ত্যাগ করি বিপ্রগণ, ছাড়ি সন্ধ্যার্চনা,

দাঁড়ায়েছে চতুষ্পথে পাণ্ডবের তরে

প্রতীক্ষিয়া ; পৌরগণ কেহ নাহি ঘরে,

পাণ্যশালা রুদ্ধ সব ; সন্ধ্যা হল, তবু

ভৈরবমন্দির-মাঝে নাহি বাজে, প্রভু,

শঙ্খঘণ্টা সন্ধ্যাভেরী, দীপ নাহি জ্বলে ;

শোকাতুর নরনারী সবে দলে দলে

চলিয়াছে নগরের সিংহদ্বার-পানে

দীনবেশে সজলনয়নে।

দুর্যোধন।                   নাহি জানে

জাগিয়াছে দুর্যোধন। মূঢ় ভাগ্যহীন!

ঘনায়ে এসেছে আজি তোদের দুর্দিন।

রাজায় প্রজায় আজি হবে পরিচয়

ঘনিষ্ঠ কঠিন। দেখি কতদিন রয়

প্রজার পরম স্পর্ধা — নির্বিষ সর্পের

ব্যর্থ ফণা-আস্ফালন, নিরস্ত্র দর্পের

হুহুংকার।


প্রতিহারীর প্রবেশ

 

প্রতিহারী।            মহারাজ, মহিষী গান্ধারী

দর্শনপ্রার্থিনী পদে।

ধৃতরাষ্ট্র।                   রহিনু তাঁহারি

প্রতীক্ষায়।

দুর্যোধন।             পিতঃ, আমি চলিলাম তবে।