পরিত্রাণ
প্রথম অঙ্ক
প্রথম দৃশ্য
ধনঞ্জয় ও প্রজাগণ

প্রজা। থাকতে পারলুম না যে ঠাকুর। তাই তোমাকে ধরে নিয়ে চলেছি।

ধনঞ্জয়। আমাকে নিয়ে তোদের কী হবে বল্‌ তো।

প্রজা। মাঝে মাঝে তোমাকে না দেখতে পেলে যে-

ধনঞ্জয়। তোরা ভাবছিস তোরাই আমাকে ধরে এনেছিস। তা নয় রে - আমিই তোদের খবর দিতে বেরিয়েছি-

প্রজা। কিসের খবর ঠাকুর?

ধনঞ্জয়। দুঃখের দিন আসছে।

প্রজা। বল কী প্রভু?

ধনঞ্জয়। হাঁ রে, আমি ধরণীর কান্না শুনতে পাই যে।

প্রজা। কোথায় পালাব?

ধনঞ্জয়। পালাব না রে, তাকে বুঝে নেব-ভিতরে এসে দুঃখটাকে দেখব বাইরে।

গান

তুমি    বাহির থেকে দিলে বিষম তাড়া-

তাই    ভয়ে ঘোরায় দিক্‌-বিদিকে

      শেষে    অন্তরে পাই সাড়া।

আমি তোদের ডাকছি- সবাই আমার বুকের ভিতরে আয়, সেইখান থেকে নির্ভয়ে দেখবি তুফানের দাপট, মরণের চোখ-রাঙানি।

প্রজা। তুমি যেখানে ডাক দাও ঠাকুর সেখানে যাবার পথ পাই নে যে।

ধনঞ্জয়।                               যখন    হারাই বন্ধ-ঘরের তালা,

যখন    অন্ধ নয়ন, শ্রবণ কালা,

তখন    অন্ধকারে লুকিয়ে দ্বারে

        শিকলে দাও নাড়া।

ঘুম যখন ভাঙবে তখনই দরজা খোলবার সময় আসবে রে।

প্রজা। ঘুম যে ভাঙে না।

ধনঞ্জয়। সেইজন্যই তাড়া লাগছে, নইলে দুঃখ আসবে কেন।

যত     দুঃখ আমার দুঃস্বপনে,