কালের যাত্রা

সুতোর থেকে কাপড়।

ভাগ্যে তাঁর ভিক্ষার ঝুলি অসীম

তাই মানুষ সন্ধান পায় অসীম সম্পদের।

নইলে দিন কাটত কুকুর-বেড়ালের মতো।

তোমরা কি বলো সব চেয়ে বড়ো সন্ন্যাসী ওই কুকুর-বেড়াল।

তত্ত্বানন্দস্বামী কী বলেন।

 

তিনি বলেন, শিবের ভিক্ষার ঝুলির টানে আমরা হব নিষ্কিঞ্চন।

যার কিছু নেই দেবার, তার নেই দেনা।

সংসারের নালিশ একেবারে বন্ধ তার নামে।

 

মানুষকে যদি দেউলে করেন তিনি,

তবে ভিক্ষু দেবতার ব্যাবসা হবে অচল।

তাঁর ভিক্ষের ঝুলির টানে মানুষ হয় ধনী —

যদি দান করতেন ঘটত সর্বনাশ।

 

তোমার কথা শুনে বোধ হচ্ছে, মিথ্যে নয় পুরাণের কথাটা।

ভিক্ষুক শিবের বরেই রাবণের স্বর্ণলঙ্কা।

কিন্তু আগুন কেন লাগে সে লঙ্কায়।

 

সে যে করলে ভিক্ষে বন্ধ। লাগল জমাতে।

দিতে যেমনি পারলে না, যেমনি লাগল কাড়তে,

অমনি ঘটল সর্বনাশ।

ভিক্ষু দেবতা দ্বারে বসে হাঁকেন, দেহি দেহি।

তবু আমরা কোণে বসে আছি নেংটি প'রে। দেবো কীই বা!

কেউ বা লোভে পড়ে ভাঙতে চায় না জমানো ধন।

তবে কি য়ুরোপখণ্ডকে বলবে শিবের চেলা।

 

বলতে হয় বৈকি।

নইলে এত উন্নতি কেন।

মেনেছে ওরা মহাভিক্ষুর দাবি।

তাই বের করে আনছে নব নব সম্পদ —

ধনে প্রাণে জ্ঞানে মানে।