নটরাজ

ওগো সন্ন্যাসী, পথ যায় ভাসি

ঝরঝর ধারাজলে —

তমালবনের শ্যামল তিমিরতলে।

দ্যুলোক ভূলোকে দূরে দূরে বলাবলি

চিরবিরহের কথা,

বিরহিণী তার নত আঁখি ছলছলি

নীপ-অঞ্জলি রচে বসি গৃহকোণে

ঢেলে ঢেলে দেয় তোমারে স্মরিয়া মনে,

ঢেলে দেয় ব্যাকুলতা।

কভু বাতায়নে অকারণে বেলা বাহি

আতুর নয়নে দু-হাতে আঁচল ঝাঁপে।

তুমি চিত্তের অন্তরে অবগাহি

খুঁজিয়া দেখিছ ধৈরজ নাহি নাহি,

মল্লাররাগে গর্জিয়া ওঠ গাহি,

বক্ষে তোমার অক্ষের মালা কাঁপে।

যাক যাক তব মন গলে গলে যাক,

গান ভেসে গিয়ে দূরে চলে চলে যাক,

বেদনার ধারা দুর্দাম দিশাহারা

দুখ-দুর্দিনে দুই কূল তার ছাপে।

কদম্ববন চঞ্চল ওঠে দুলি,

সেইমতো তব কম্পিত বাহু তুলি

টলমল নাচে নাচো সংসার ভুলি,

আজ সন্ন্যাসী, কাজ নাই জপে জাপে।


শ্রাবণ-বিদায়
গান

শ্রাবণ তুমি বাতাসে কার

আভাস পেলে?

পথে তারি সকল বারি

দিলে ঢেলে।

কেয়া কাঁদে, যায় যায় যায়।