নটরাজ

সপ্ততারার লুপ্তির পরে

নাচে সে সুপ্তি ভঞ্জনী।

তপোভঙ্গের দিবে মন্ত্রণা

তব শান্তিরে তর্জিয়া,

তন্ত্র পরাবে রুদ্রবীণায়

রেখেছিলে যারে বর্জিয়া।

দিগন্তরের সঞ্চয় টুটি

অঞ্চলে মেঘ আনিবে সে লুটি —

বাজিয়া উঠিবে কল-কল্লোল

বন পল্লবে পল্লবে,—

শ্যাম উত্তরী নির্মল করি

সাজাবে আপন বল্লভে।


মাধুরীর ধ্যান
গান

মধ্যদিনে যবে গান

বন্ধ করে পাখি,

হে রাখাল, বেণু তব

বাজাও একাকী।

শান্ত প্রান্তরের কোণে

রুদ্র বসি তাই শোনে,

মধুরের ধ্যানাবেশে

স্বপ্নমগ্ন আঁখি ;

হে রাখাল, বেণু যবে

বাজাও একাকী।

 

সহসা উচ্ছ্বসি উঠে

ভরিয়া আকাশ

তৃষাতপ্ত বিরহের

নিরুদ্ধ নিঃশ্বাস।

অম্বরপ্রান্তের দূরে