নটরাজ

ভিতরকে তার বাইরে ফেলায়,

কবির বাণী অবাক মানি

তারি নাচের প্রসাদ যাচে।

 

শুনবি রে আয়, কবির কাছে

তরুর মুক্তি ফুলের নাচে,

নদীর মুক্তি আত্মহারা

নৃত্যধারার তালে তালে।

 

রবির মুক্তি দেখ্‌-না চেয়ে

আলোক-জাগার নাচন গেয়ে,

তারার নৃত্যে শূন্য গগন

মুক্তি যে পায় কালে কালে।

 

প্রাণের মুক্তি মৃত্যুরথে

নূতন প্রাণের যাত্রাপথে,

জ্ঞানের মুক্তি সত্য-সুতার

নিত্য-বোনা চিন্তাজালে।

 

আয় তবে আয় কবির সাথে

মুক্তি-দোলের শুক্লরাতে,

জ্বলল আলো, বাজল মৃদঙ্‌

নটরাজের নাট্যশালে।


উদ্বোধন

মন্দিরার মন্দ্র তব বক্ষে আজি বাজে, নটরাজ,

নৃত্যমদে মত্ত করে, ভাঙে চিন্তা, ভাঙে শঙ্কা লাজ,

তুচ্ছ করে সম্মানের অভিমান, চিত্ত টেনে আনে

বিশ্বের প্রাঙ্গণতলে তব নৃত্যচ্ছন্দের সন্ধানে।

মুক্তির প্রয়াসী আমি, শাস্ত্রের জটিল তর্কজালে

যৌবন হয়েছে বন্দী বাক্যের দুর্গের অন্তরালে ;