নৃত্যনাট্য চিত্রাঙ্গদা

পিঞ্জর রচিবে কি

এ মরীচিকার।

ধিক্‌ ধিক্‌ ধিক্‌।

লজ্জা, লজ্জা, হায় এ কী লজ্জা,

মিথ্যা রূপ মোর, মিথ্যা সজ্জা।

এ যে মিছে স্বপ্নের স্বর্গ,

এ যে শুধু ক্ষণিকের অর্ঘ্য,

    এই কি তোমার উপহার।

ধিক্‌ ধিক্‌ ধিক্‌!

অর্জুন।     হে সুন্দরী, উন্মথিত যৌবন আমার

সন্ন্যাসীর ব্রতবন্ধ দিল ছিন্ন করি।

পৌরুষের সে অধৈর্য

তাহারে গৌরব মানি আমি।

আমি তো আচারভীরু নারী নহি,

শাস্ত্রবাক্যে বাঁধা।

এসো সখী, দুঃসাহসী প্রেম

বহন করুক আমাদের

অজানার পথে।

চিত্রাঙ্গদা।             তবে তাই হোক।

কিন্তু মনে রেখো,

কিংশুকদলের প্রান্তে এই যে দুলিছে

একটু শিশির — তুমি যারে করিছ কামনা

সে এমনি শিশিরের কণা

নিমিষের সোহাগিনী।

কোন্‌ দেবতা সে, কী পরিহাসে

ভাসালো মায়ার ভেলায়।

স্বপ্নের সাথি এসো মোরা মাতি

স্বর্গের কৌতুক-খেলায়।

সুরের প্রবাহে হাসির তরঙ্গে

বাতাসে বাতাসে ভেসে যাব রঙ্গে,

নৃত্যবিভঙ্গে,