শ্রাবণগাথা

                 আয় আয় আয়॥

নটরাজ। মহারাজ, শরৎ দ্বারের কাছে এসে পৌঁচেছে, এইবার বিদায়গান। রসলোক থেকে আপনার সভাকবি মুক্তি পেলেন বস্তুলোকে।

সভাকবি। অর্থাৎ, অপদার্থ থেকে পদার্থে।

বাদলধারা হল সারা, বাজে বিদায়-সুর।

গানের পালা শেষ করে দে, যাবি অনেক দূর।

ছাড়ল খেয়া ও পার হতে     ভাদ্রদিনের ভরা স্রোতে,

দুলছে তরী নদীর পথে তরঙ্গবন্ধুর।

কদমকেশর ঢেকেছে আজ বনপথের ধূলি,

মৌমাছিরা কেয়াবনের পথ গিয়েছে ভুলি।

অরণ্যে আজ স্তব্ধ হাওয়া,     আকাশ আজি শিশির ছাওয়া,

আলোতে আজ স্মৃতির আভাস বৃষ্টির বিন্দুর॥