রুদ্রচণ্ড
মুখে মুখে তব নাম করিবে বিরাজ,
দিশে দিশে সে নামের হবে প্রতিধ্বনি!
এই এক ব্রত শুধু রহিল আমার,
জীবনের আর সব গেছে ধ্বংস হ’য়ে!
আহা সে অমিয়া মোর, সে কি বেঁচে আছে?
তার তরে প্রাণ বড় হয়েছে অধীর!
চৌদিকে উঠিছে যবে রণকোলাহল,
চৌদিকে চলেছে যবে মরণের খেলা,
করুণ সে মুখখানি, দীনহীন বেশ,
আঁখির সামনে ছিল ছবির মতন!
আকাশের পটে আঁকা সে মুখ হেরিয়া
ভীষণ সমরক্ষেত্রে কাঁদিয়াছি আমি!
তার সেই ‘চাঁদ’ ‘চাঁদ’ স্নেহের উচ্ছ্বাস,
কানেতে বাজিতেছিল আকুল সে স্বর!
একটি কথাও তারে নারিনু বলিতে?
মুখের কথাটি তার মুখে র’য়ে গেল,
একটি উত্তর দিতে পেনু না সময়?
চাহিয়া পাষাণদৃষ্টি আইনু চলিয়া!
পাব কি দেখিতে তারে কোথায় সে গেল?
যাই সে অরণ্যমাঝে যাই একবার!


চতুর্দশ দৃশ্য
চাঁদ কবি
চাঁদ কবি।    উহু, কি নিস্তব্ধ বন, হাহা করে বায়ু,
পদশব্দে প্রতিধ্বনি উঠিছে কাঁদিয়া!
আশঙ্কায় দেহ যেন উঠিছে শিহরি,
অতিশয় ধীরে ধীরে পড়িছে নিঃশ্বাস!
এই যে কুটীর সেই, সাড়াশব্দ নাই,
গোপন কি কথা ল’য়ে স্তব্ধ আছে যেন!
কাঁপিছে চরণ মোর! যাব কি ভিতরে?