শারদোৎসব
মনে ভাবি এবার বুঝি তবে ঠাকুর্দাই জিতলেবা, আবার ভাবি মরুক গে ঠাকুর্দা! কিন্তু, এ তো ভালো কথা নয়! চেলা-ধরা ব্যাবসা দেখছি তোমার। কিন্তু, সে হবে না, কোনোমতেই হবে না! চুপ করে হাসছ কী? আমি বলছি আমাকে পারবে না—আমার শক্ত হাড়! লক্ষেশ্বর কোনোদিন তোমার চেলাগিরিতে ভিড়বে না।
[ প্রস্থান
ফুল লইয়া ছেলেদের প্রবেশ

সন্ন্যাসী। এবার অর্ঘ্য সাজানো যাক। এ যে টগর, এই বুঝি মালতী, শেফালিকাও অনেক এনেছ দেখছি! সমস্তই শুভ্র, শুভ্র, শুভ্র! বাবা, এইবার সব দাঁড়াও। একবার পূর্ব আকাশে দাঁড়িয়ে বেদমন্ত্র পড়ে নিই।

বেদমন্ত্র

অক্ষি দুঃখোত্থিতস্যৈব সুপ্রসন্নে কনীনিকে।

আংক্তে চাদ্‌গণং নাস্তি ঋভূনাং তন্নিবোধত।

কনকাভানি বাসাংসি অহতানি নিবোধত।

অন্নমশ্নীত মৃজ্‌মীত অহং বো জীবনপ্রদঃ।

এতা বাচঃ প্রযুজ্যন্তে শরদ্‌যত্রোপদৃশ্যতে।


এবারে সকলে মিলে তোমাদের শারদোৎসবের আবাহন-গানটি গাইতে গাইতে বনপথ প্রদক্ষিণ করে এসো। ঠাকুর্দা, তুমি গানটি ধরিয়ে দাও। তোমাদের উৎসবের গানে বনলক্ষ্মীদের জাগিয়ে দিতে হবে।

গান
মিশ্র রামকেলি। একতাল

আমরা     বেঁধেছি কাশের গুচ্ছ, আমরা

গেঁথেছি শেফালিমালা।

   নবীন ধানের মঞ্জরী দিয়ে

সাজিয়ে এনেছি ডালা।

   এসো গো শারদলক্ষ্মী, তোমার

শুভ্র মেঘের রথে,

এসো             নির্মল নীল পথে,

এসো      ধৌত শ্যামল আলো-ঝলমল

বনগিরিপর্বতে।

এসো      মুকুটে পরয়া শ্বেত শতদল

শীতল-শিশির-ঢালা।