শারদোৎসব

দ্বিতীয় ব্যক্তি। সে তো সত্যি। কিন্তু আমাকে যে কালুর মা বললে, তার ভাগনে নিজের চক্ষে দেখে এসেছে, সন্ন্যাসী এক টান গাঁজা টেনে কলকেটা যেমনি উপুড় করলে অমনি তার মধ্যে থেকে এক ভাঁড় মদ আর একটা আস্ত মড়ার মাথার খুলি বেরিয়ে পড়ল!

তৃতীয় ব্যক্তি। বল কী, নিজের চক্ষে দেখেছে?

দ্বিতীয় ব্যক্তি। হাঁ রে, নিজের চক্ষে বৈকি।

তৃতীয় ব্যক্তি। আছে রে আছে,সিদ্ধপুরুষ আছে। ভাগ্যে যদি থাকে, তবে তো দর্শন পাব। তা, চল্‌-না ভাই, কোন্‌ দিকে গেল একবার দেখে আসি গে।

[প্রস্থান

সন্ন্যাসী। ( বালকদের প্রতি ) বাবা, আজ যে তোমাদের সব সোনার রঙের কাপড় পরতে হবে।

ছেলেরা। সোনার রঙের কাপড় কেন ঠাকুর?

সন্ন্যাসী। বাইরে যে আজ সোনা ঢেলে দিয়েছে। তারই সঙ্গে আমাদেরও আজ অন্তরে বাইরে মিলে যেতে হবে তো, নইলে এই শরতের উৎসবে আমরা যোগ দিতে পারব কী করে? আজ এই আলোর সঙ্গে আকাশের সঙ্গে মিলব বলেই তো উৎসব।

ছেলেরা। সোনার রঙের কাপড় কোথায় পাব ঠাকুর?

সন্ন্যাসী। ঐ বেতসিনীর ধার দিয়ে যাও। যেখানে বটতলায় পোড়ো মন্দিরটা আছে সেই মন্দিরটায় সমস্ত সাজানো আছে। ঠাকুর্দা, তুমি এদের সাজিয়ে আনো গে।

ঠাকুরদাদা। তবে চলো সবাই।

[প্রস্থান
সন্ন্যাসী।
গান
রামকেলি। কাওয়ালি

নবকুন্দধবলদল-সুশীতলা

অতিসুনির্মল সুখসমুজ্জ্বলা

শুভ-সুবর্ণ-আসনে-অচঞ্চলা!

স্মিত-উদয়ারুণ-কিরণ-বিলাসিনী

পূর্ণসিতাংশু-বিভাস-বিকাশিনী

নন্দনলক্ষ্মী সুমঙ্গল!


লক্ষেশ্বরের প্রবেশ

লক্ষেশ্বর। দেখো ঠাকুর, তোমার মন্তর যদি ফিরিয়ে না নাও তো ভালো হবে না বলছি! কী মুশকিলেই ফেলেছ! আমার হিসেবের খাতা মাটি হয়ে গেল! একবার মনটা বলে যাই সোনার পদ্মর খোঁজে, আবার বলি থাক্‌ গে ও-সব বাজে কথা! একবার