শৈশবসঙ্গীত
    পাপড়ি পড়য়ে খসি।
দুই ফুলবালা মিলি বা কোথায়
    গলা-ধরাধরি করি
ঘাসে ঘাসে ঘাসে ছুটিয়া বেড়ায়
    প্রজাপতি ধরি ধরি
কুসুমের ‘পরে দেখিয়া মিরে
    আবরি পাতার দ্বার
ফুলফাঁদে ফেলি পাখায় মাখায়
    কুসুমরেণুর ভার।
ফাঁফরে পড়িয়া মির উড়িয়া
    বাহির হইতে চায়,
কুসমরমণী হাসিয়া অমনি
    ছুটিয়ে পালিয়ে যায়।
ডাকিয়া আনিয়া সবারে তখনি
    প্রমোদে হইয়া ভোর
কহে হাসি হাসি করতালি দিয়া
    ‘কেমন পরাগচোর!”
এত বলি ধীরে কলপনা-রাণী
    বীণায় আভানি তান
বাজাইল বীণা আকাশ ভরিয়া
    অবশ করিয়া প্রাণ!
গভীর নিশীথে সুদূর আকাশে
    মিশিল বীণার রব,
ঘুমঘোরে আঁখি মুদিয়া রহিল
    দিকের বালিকা সব।
ঘুমায়ে পড়িল আকাশ পাতাল,
    ঘুমায়ে পড়িল স্বরগবালা,
দিগন্তের কোলে ঘুমায়ে পড়িল
    জোছনা-মাখানো জলদমালা।
একি একি ওগো কলপনা সখি!
    কোথায় আনিলে মোরে!