ফুলবালা
গাথা
তরল জলদে বিমল চাঁদিমা
    সুধার ঝরণা দিতেছে ঢালি।
মলয় ঢলিয়া কুসুমের কোলে
    নীরবে লইছে সুরভিডালি।
যমুনা বহিছে নাচিয়া নাচিয়া
    গাহিয়া গাহিয়া অফুট গান—
থাকিয়া থাকিয়া বিজনে পাপিয়া
    কানন ছাপিয়া তুলিছে তান।
পাতায় পাতায় লুকায়ে কুসুম,
    কুসুমে কুসুমে শিশির দুলে—
শিশিরে শিশিরে জোছনা পড়েছে
    মুকুতা-গুলিন সাজায়ে ফুলে।
তটের চরণে তটিনী ছুটিছে,
    ভ্রমর লুটিছে ফুলের বাস—
সেঁউতি ফুটিছে, বকুল ফুটিছে
    ছড়ায়ে ছড়ায়ে সুরভিশ্বাস।
কুহরি উঠিছে কাননে কোকিল,
    শিহরি উঠিছে দিকের বালা—
তরল লহরী গাঁথিছে আঁচলে
    ভাঙা ভাঙা যত চাঁদের মালা।
ঝোপে ঝোপে ঝোপে লুকায়ে আঁধার,
    হেথা হোথা চাঁদ মারিছে উঁকি—
সুধীরে আঁধার-ঘোমটা হইতে
    কুসুমের থোলো হাসে মুচুকি।
এস কল্‌পনে!    এ মধুর রেতে
    দুজনে বীণায় পূরিব তান।
সকল ভুলিয়া হৃদয় খুলিয়া
    আকাশে তুলিয়া করিব গান।