বন-ফুল
এই হল মালা, আর না লো বালা—
     শুই লো নীরজা! ঘাসের 'পরে।
শুন‍্‌ছিস বোন! শোন্‌ শোন্‌ শোন্‌!
     কে গায় কোথায় সুধার স্বরে!
জাগিয়া উঠিল হৃদয় প্রাণ!
     স্মরণের জ্যোতি উঠিল জ্বলে!
ঘা দিয়েছে আহা মধুর গান
     হৃদয়ের অতি গভীর তলে!
সেই-যে কানন পড়িতেছে মনে
     সেই-যে কুটীর নদীর ধারে!
থাক্‌ থাক্‌ থাক্‌ হৃদয়বেদন
     নিভাইয়া ফেলি নয়নধারে!
সাগরের মাঝে তরণী হতে
     দূর হতে যথা নাবিক যত—
পায় দেখিবারে সাগরের ধারে
     মেঘ্‌লা মেঘ্‌লা ছায়ার মত!
তেমনি তেমনি উঠিয়াছে জাগি—
     অফুট অফুট হৃদয়-'পরে
কী দেশ কী জানি, কুটীর দুখানি,
     মাঠের মাঝেতে মহিষ চরে!
বুঝি সে আমার জনমভূমি
     সেখান হইতে গেছিনু চলে!
আজিকে তা মনে জাগিল কেমনে
     এত দিন সব ছিলুম ভুলে।
হেথায় নীরজা, গাছের আড়ালে
     লুকিয়ে লুকিয়ে শুনিব গান,
যমুনাতীরেতে জ্যোছনার রেতে
     গাইছে যুবক খুলিয়া প্রাণ!
কেও কেও ভাই? নীরদ বুঝি?
     বিজয়ের আহা প্রাণের সখা!
গাইছে আপন ভাবেতে মজি
     যমুনা পুলিনে বসিয়ে একা!

১ কমলাকে যিনি সংসারে আনেন।