নতুন পুতুল
করে জল টানে।

একে একে ষোলোটা মোহর গাঁথা হল, হার পূর্ণ হয়ে উঠল।

মা বললে, “এখন বর এলেই হয়।”

সুভদ্রা বুড়োর কানে কানে বললে, “দাদাভাই, বর ঠিক আছে।”

দাদা বললে, “বল্‌ তো দাদি, কোথায় পেলি বর।”

সুভদ্রা বললে, “যেদিন রাজপুরীতে গেলেম দ্বারী বললে, কী চাও। আমি বললেম, রাজকন্যাদের কাছে পুতুল বেচতে চাই। সে বললে, এ পুতুল এখনকার দিনে চলবে না। ব’লে আমাকে ফিরিয়ে দিলে। একজন মানুষ আমার কান্না দেখে বললে, দাও তো, ঐ পুতুলের একটু সাজ ফিরিয়ে দিই, বিক্রি হয়ে যাবে। সেই মানুষটিকে তুমি যদি পছন্দ কর দাদা, তা হলে আমি তার গলায় মালা দিই।”

বুড়ো জিজ্ঞাসা করলে, “সে আছে কোথায়।”

নাতনি বললে, “ঐ যে, বাইরে পিয়ালগাছের তলায়।”

বর এল ঘরের মধ্যে; বুড়ো বললে, “এ যে কিষণলাল।”

কিষণলাল বুড়োর পায়ের ধুলো নিয়ে বললে, “হাঁ, আমি কিষণলাল।”

বুড়ো তাকে বুকে চেপে ধরে বললে, “ভাই, একদিন তুমি কেড়ে নিয়েছিলে আমার হাতের পুতুলকে, আজ নিলে আমার প্রাণের পুতুলটিকে।”

নাতনি বুড়োর গলা ধরে তার কানে কানে বললে, “দাদা, তোমাকে সুদ্ধ।”