অনুবাদ কবিতা

অনাহূত হর্ষ এক জাগ্রতে স্বপনে আসি,

শৌর্যের সমাধি-পরে ঢালে রবি-কর রাশি!

কতবার ঘৃণি তারে! রমণী সে অবহেলে

পৌরুষ নিতেছে কাড়ি বিলাসের জালে ফেলে!

   

          কিন্তু সে অধর হতে

          অমনি অজস্র স্রোতে

ঝরে পড়ে মৃদু হাসি, চুম্বন অমৃত-মাখা

আমারে করিয়া তুলে, ভাঙাঘর ফুলে ঢাকা।

বীরত্বের মুখ খানি একবার মনে আনি,

তার পরে ওই মুখে ফিরাই নয়ন মম,

ওই মুখ! একখানি উজ্জ্বল কলঙ্ক সম!

ওই তার শ্যাম বাহু আমারে ধরেছে হায়!

অঙ্গুলির মৃদু স্পর্শে বল মোর চলে যায়!

মুখ ফিরাইয়া লই — রমণী যেমনি ধীরি

মৃদু কণ্ঠে মৃদু কহে, অমনি আবার ফিরি।

রোমের আঁধার মেঘ দেখে যেই মুখ- ‘ পরে,

অমনি দু বাহু দিয়ে কণ্ঠ জড়াইয়া ধরে,

বরষে নয়নবারি আমার বুকের মাঝ,

চুমিয়া সে অশ্রুবারি শুকানো বীরের কাজ।

তার পরে ত্যজি মোরে চরণ পড়িছে টলে,

থর থর কেঁপে বলে —‘ যাও, যাও, যাও চলে! '

ঢুলু ঢুলু আঁখিপাতা পুরে অশ্রু-মুকুতায়,

শ্যামল সৌন্দর্য তার হিম-শ্বেত হয়ে যায়!

জীবনের লক্ষ্য, আশা, ইচ্ছা, হারাইয়া ফেলি,

চেয়ে দেখি তার পানে কাতর নয়ন মেলি।

আবার ফিরাই মুখ, কটাক্ষেতে চেয়ে রই,

কলঙ্ক প্রমোদে মাতি তাহারে টানিয়া লই!

আরেকটি বার রোম, হইব সন্তান তোর

একটি বাসনা এই বন্দী এ হৃদয়ে মোর।

গৌরবে সম্মানে মরি এই এক আছে আশ,

চাহি না করিতে ব্যয় চুম্বনে অন্তিম শ্বাস!