প্রভাতসংগীত

সে - হাসির শিশুদুটি লতিকামন্ডপে গিয়া

আঁধারে ভাবিয়া সারা বাহিরিবে কোথা দিয়া

সে - হাসি অলসে ঢলি দিগন্তে পড়িয়া নুয়ে,

মেঘের অধরপ্রান্ত একটু রয়েছে ছুঁয়ে।

বলো তুমি কেন তবে

এমন মলিন রবে?

বিষাদ - স্বপন দেখে হাসির কোলেতে শুয়ে।

 

ঘোমটাটি খোলো খোলো

মুখখানি তোলো তোলো

‍ চাঁদের মুখের পানে চাও একবার।

বলো দেখি কারে হেরি এত হাসি তার!

নিলাজ বসন্ত যবে কুসুমে কুসুমময়

মাতিয়া নিজের রূপে হাসিয়া আকুল হয়,

মলয় মরমে মরি,

ফিরে হাহাকার করি—

বনের হৃদয় হতে সৌরভ - উচ্ছাস বয়!

তারে হেরি হয় না সে এমন হরষে ভোর ;

কী চোখে দেখেছে চাঁদ ওই মুখখানি তোর!

তুই তবু কেন কেন

দারুন বিরাগে যেন

চাস নে চা চাঁদের হাসি চাঁদের আদর!

নাই তোর ফুলবাস

নাইক প্রেমের হাস,

পাপিয়া আড়ালে বসি শুনায় না প্রেমগান!

কী দুখেতে উদাসীনি

যৌবনেতে সন্ন্যাসিনী!

কাহার ধেয়ানে মগ্ন শুভ্র বস্ত্র পরিধান?

 

এক - কালে ছিল তোর কুসুমিত মধুমাস—

হৃদয়ে ফুটিত তোর অজস্র ফুলের রাশ ;

যৌবন - উচ্ছাসে ভোর

প্রাণের সুরভি তোর