শেষ সপ্তক

                 চৈত্রতাপে, মাঘের হিমে, শ্রাবণ - বৃষ্টিজলে

                          স্বপ্ন দেখে বীজ সেখানে

                          অভাবিতের গভীর টানে,

                 অন্ধকারে এই যে ধেয়ান স্বপ্নে কি তার শেষ?

                  উষার আলোয় ফুলের প্রকাশ, নাই কি সে উদ্দেশ?

 

                           পঁয়ত্রিশ - সংখ্যক কবিতা তুলনীয়।


আমি

               এই যে সবার সামান্য পথ, পায়ে হাঁটার গলি

                                সে পথ দিয়ে আমি চলি

                             সুখে দুঃখে লাভে ক্ষতিতে,

                      রাতের আঁধার দিনের জ্যোতিতে।

               প্রতি তুচ্ছ মুহূর্তেরই আবর্জনা করি আমি জড়ো,

                            কারো চেয়ে নইকো অমি বড়ো।

                  চলতে পথে কখনো বা বিঁধছে কাঁটা পায়ে,

                             লাগছে ধুলো গায়ে ;

                      দুর্বাসনার এলোমেলো হাওয়া,

                         তারি মধ্যে কতই চাওয়া পাওয়া,

                              কতই বা হারানো,

                         খেয়া ধরে ঘাটে আঘাটায়

                                       নদী - পারানো।

 

                      এমনি করে দিন কেটেছে, হবে সে - দিন সারা

                              বেয়ে সর্বসাধারণের ধারা।

               শুধাও যদি   সবশেষে তার রইল কী ধন বাকি,

                              স্পষ্ট ভাষায় বলতে পারি তা কি!

               জানি, এমন নাই কিছু যা পড়বে কারো চোখে,

                      স্মরণ - বিস্মরণের দোলায় দুলবে বিশ্বলোকে।

                            নয় সে মানিক, নয় সে সোনা —

                      যায় না তারে যাচাই করা, যায় না তারে গোনা।