রূপান্তর

টীকা :

পাঠান্তর :

      ১     ‘ ইতরতাপশতানি', ‘ ইতরকর্মফলানি' নানা পাঠান্তর আছে। অন্যত্র ‘ যদৃচ্ছা', ‘ বিতর' স্থলে ‘ বিলিখ', ‘ অরসিকেষু' স্থলে ‘ অরসিকে তু', ‘ রসস্য' স্থলে ‘ রহস্য' বা ‘ কবিত্ব'।

      ২     কাব্যসংগ্রহে প্রথম চরণ : কাকস্য চঞ্চুর্যদি স্বর্ণযুক্তা

      ৩     তাঁরি

      ৪     পরে করিবেক

      ৫     পরকে বিস্মরি

      ৬     কিছুতে

      ৭     কাব্যসংগ্রহ - ধৃত পাঠান্তর দ্রষ্টব্য : ষড়্‌রত্ন, ১

      ৮     কাব্যসংগ্রহ - ধৃত পাঠ : পুনর্দিবা

      ৯     গ্রন্থপরিচয় দ্রষ্টব্য।

      ১০   উদ্‌‌ধৃতি - চিহ্নিত অংশ ভারতচন্দ্রের বিদ্যাসুন্দর হইতে গৃহীত।

            পাঠান্তর : ‘ ভেসে' স্থলে ‘ ভাসি'।

      ১১    নবরত্নমালা গ্রন্থে সামান্য পাঠভেদ আছে।

মন্তব্য : সংকলিত সংস্কৃত শ্লোকাবলির পাঠ নানা আধারগ্রন্থে নানারূপ, কদাচিৎ রচয়িতা   সম্পর্কেও মতভেদ আছে। রবীন্দ্রনাথ - ধৃত পাঠ অথবা যে পাঠ তিনি ব্যবহার করিয়াছেন জানা যায়, তাহাই এ স্থলে সংকলিত।

   ২ - ৯, ১১ - ১৫, ১৮ - ২১, ২৩, ৩০ ও ৩১ - সংখ্যক শ্লোক ‘ শ্রীডাক্তরযোহন - হেবর্‌লিন' - কর্তৃক সমাহৃত ও মুদ্রাঙ্কিত কাব্যসংগ্রহ ( ১৮৪৭, পরবর্তী পরিবর্ধিত সংস্করণ : ১৮১৬ - ৬২ খৃস্টাব্দ ) গ্রন্থে দেখা যায়। উপরে পাঠভেদগুলি নির্দেশ করা হইয়াছে ; তাহা ছাড়া ইহাও উল্লেখযোগ্য যে, দ্বাদশ শ্লোকের পাঠ প্রমাদপূর্ণ মনে হওয়াতেই নবরত্নমালা বা সুভাষিতরত্নভাণ্ডাগার - ধৃত পাঠ গৃহীত।

   ১০, ১২, ১৬, ১৭, ২২ - ২৯ ও ৩২ - সংখ্যক সুভাষিতরত্নভাণ্ডাগার গ্রন্থে যথাযথ পাওয়া যায়, কেবল চতুর্বিংশ শ্লোকের একাংশে ‘ নীলং। বাসঃ' পাঠ শার্‌ঙ্গধর - পদ্ধতি ( ১৮৮০ ) গ্রন্থের প্রামাণ্যে প্রচলিত সংস্করণে ‘ বাসো নীলং' করা হইয়াছে।

   বহু স্থলে রবীন্দ্রনাথ মর্মানুবাদ মাত্র করিয়াছেন। চতুর্দশ শ্লোকের শেষাংশ নাটকের প্রয়োজনেই পরিবর্তিত হইয়া থাকিতে পারে ; কিন্তু ইহা উল্লেখযোগ্য যে, ভর্তৃহরি - রচিত মূল কাব্যে পরবর্তী শ্লোকের সূচনাতেই আছে : অপসর সখে দূরমস্মাৎ কটাক্ষ বি শি খা ন লা ৎ। সপ্তদশ, বিশেষতঃ ষোড়শ শ্লোকের রূপান্তরে বহুশঃ পরিবর্তনও ফাল্গুনী নাট্যকাব্যেরই প্রয়োজনোপযোগী।

   সর্বশেষ শ্লোকের অনুরূপ একটি শ্লোক পাওয়া যায় যাজ্ঞবল্ক্যস্মৃতিতে ; সুভাষিত - রত্নভাণ্ডাগার - ধৃত পাঠ —

               যথ হ্যৈকেন চক্রেণ ন রথস্য গতির্ভবেৎ

               এবং পুরুষকারেণ বিনা দৈবং ন সিদ্ধ্বতি॥