শেষ সপ্তক

কোথাও লুকোল গুহার মধ্যে।

      তার মাঝে মাঝে মোটা পাথর

            পথ ঠেকিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে বর্বরের মতো,

      মাঝে মাঝে গাছের শিকড়

      কাঙালের মতো ছড়িয়েছে আঙুলগুলো —

কাকে ধরতে চায় ঐ জলের ঝিকিমিকির মধ্যে? '

 

        সভার লোকে বললে,

           ‘ এ যে তোমার আবাঁধা বেণীর বাণী,

                  বন্দিনী সে গেল কোথায়? '

      আমি বলি, ‘ তাকে তুমি পারবে না আজ চিনতে,

              তার সাতনলী হারে আজ ঝলক নেই,

         চমক দিচ্ছে না চুনি-বসানো কঙ্কণে। '

         ওরা বললে , ‘ তবে মিছে কেন?

               কী পাবে ওর কাছ থেকে? '

 

          আমি বলি, ‘ যা পাওয়া যায় গাছের ফুলে

                    ডালে পালায় সব মিলিয়ে।

পাতার ভিতর থেকে

            তার রঙ দেখা যায় এখানে সেখানে,

               গন্ধ পাওয়া যায় হাওয়ার ঝাপটায়।

                   চার দিকের খোলা বাতাসে

                          দেয় একটুখানি নেশা লাগিয়ে।

             মুঠোয় করে ধরবার জন্যে সে নয়,

             তার অসাজানো আটপহুরে পরিচয়কে

                 অনাসক্ত হয়ে মানবার জন্যে

                       তার আপন স্থানে।'