মিলভাঙা

এসেছিলে কাঁচা জীবনের

        পেলব রূপটি নিয়ে —

     এনেছিলে আমার হৃদয়ের প্রথম বিস্ময়,

            রক্তে প্রথম কোটালের বান।

      আধোচেনার ভালোবাসার মাধুরী

            ছিল যেন ভোরবেলাকার

      কালো ঘোমটার সূক্ষ্ম সোনার কাজ—

            গোপন শুভদৃষ্টির আবরণ।

      মনের মধ্যে তখনো

অসংশয় হয় নি পাখির কাকলি ;

      বনের মর্মর একবার জাগে

           একবার যায় মিলিয়ে।

 

      বহুলোকের সংসারের মাঝখানে

            চুপিচুপি তৈরি হতে লাগল

                       আমাদের দুজনের নিভৃত জগৎ।

            পাখি যেমন প্রতিদিন

                 খড়কুটো কুড়িয়ে এনে বাসা বাঁধে

                      তেমনি সেই জগতের উপকরণ সামান্য,

                         চল্‌তি মুহূর্তের খসে - পড়া

                                উড়ে - আসা সঞ্চয় দিয়ে গাঁথা

                          তার মূল্য ছিল তার রচনায়,

                                    নয় তার বস্তুতে।

 

      শেষে একদিন দুজনের নৌকো - বাওয়া থেকে

                       কখন একলা গেছ নেমে ;

                    আমি ভেসে চলেছি স্রোতে,

                তুমি বসে রইলে ও পারের ডাঙায়।

                     মিলল না আর আমার হাতে তোমার হাতে

                            কাজে কিংবা খেলায়।