কালো ঘোড়া

কালো অশ্ব অন্তরে যে সারারাত্রি ফেলেছে নিশ্বাস

          সে আমার অন্ধ অভিলাষ।

অসাধ্যের সাধনায় ছুটে যাবে ব ' লে

          দুর্গমেরে দ্রুত পায়ে দ ' লে

                  খুরে খুরে খুঁড়েছে ধরণী,

                       করেছে অধীর হ্রেষাধ্বনি।

 

ও যেন রে যুগান্তের কালো অগ্নিশিখা,

              কালো কুজ্ঝটিকা।

      অকস্মাৎ নৈরাশ্য-আঘাতে

        দ্বার মুক্ত পেয়ে রাতে

              দুর্দাম এসেছে বাহিরিয়া।

যারে নিয়ে এল সে-যে ব্যথায় মূর্তিত মোর প্রিয়া,

        বাহিরে না স্থান পেয়ে

              ধ্যানের আসন ছিল ছেয়ে।

 

          এ-অমাবস্যায়

      বল্গাহারা কালো অশ্ব ঊর্ধ্বশ্বাসে ধায়।

                কালো চিন্তা মম

                 আত্মঘাতী ঝঞ্ঝাসম

              বিস্মৃতির চিরবিলুপ্তিতে

                   চলে ঝাঁপ দিতে

                       নিরঙ্কিত পথ বেয়ে।

                     যাক ধেয়ে।

              সৃষ্টিহীন দৃষ্টিহীন রাত্রিপারে

                    ব্যর্থ দুরাশারে

                           নিয়ে যাক্‌ —

              অন্তিম শূন্যের মাঝে নিশ্চল নির্বাক্‌।

        তার পরে বিরহের অগ্নিস্নানে শুভ্র মন

              রৌদ্রস্নাত আশ্বিনের বৃষ্টিশূন্য মেঘের মতন

                             উন্মুক্ত আলোকে

                       দীপ্তি পাক্‌ সুনির্মল শোকে।